LYRIC
শিরোনামঃ গালি বয়
কন্ঠঃ তবীব মাহমুদ, গালি বয় রানা
কথাঃ তবীব মাহমুদ
এই আমি রানা,
কামরাঙ্গী চর, পূর্ব রসুলপুর,
আট নম্বর গলি, মনের কথা বলি।
ঢাকাইয়া গালি বয়।
১…২…৩…রেডি
আমি গালিবয়,
আমার নাম হইলো রানা।
শহরের অলিগলির গল্প আমার জানা।
জীবনের কঙ্কালটা কাছ থেকে দেখি,
কিছু কিছু প্রশ্ন আছে মনের মধ্যে রাখি।
আমার অনেক ইচ্ছা ছিল স্কুলে যামু,
তিনবেলা পেট ভইরা ভাত মাছ খামু।
আমার লাইগা নতুন একটা কালা প্যান্ট কিনা,
নতুন একটা শাড়ী কিনা মার হাতে দিমু।
এখন এইসব ইচ্ছা দিছি মনের মধ্যে কবর,
পেটে আমার ক্ষিদায় দেয় তিনবেলা কামড়।
একমাস সেহেরী খাইয়া রোজা রাখা সোজা,
আমি রানা সেহেরী ছারাই সারা বছর রোজা।
দেশবাসী শুইনা রাখেন আমার দিনও আইবো,
গলির পোলার কন্ঠে সেদিন সারা দেশ কাঁপবো।
রোজার মাসে পরকালের জন্য কইলো নবাব,
ইফতারি না পাইলে আমার ঘরে দাওয়াত।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
বড়লোকের বাচ্চা খেলে দিয়া টয়,
ছিড়া প্যান্ট পইড়া ঘুরি আমি গালিবয়।
আস্তে আস্তে বল করুম পারলে মাইরো ছয়,
আমি কেবলা খাইটা যামু তোমরা কইরো জয়।
ছোট কইরা শুনেন একটা ছোটগল্প বলি,
কামরাঙ্গীর চরের এইটা আট নাম্বার গলি।
জীবনটা মিশে গেছে অভাবের সাথে,
যেন মানুষের পায়ের নিচে কাঁদে চোরাবালি।
বড়লোকের বাড়িতে মা কাজ কইরা যা পায়,
স্ত্রীর নাম কইরা মাইনষে তা চাপায়।
বাপে কইলে আপনিও পইরা যাবেন কব্জায়,
যত থাকে ভেনিটি, ডাকাতেরা সব চায়।
এমন একটা পরিবেশে থাকে আমগো রানা,
স্কুল ফিস নাই তো ক্লাসে যাওয়া মানা।
রানা পথে পথে ঘুরে, যখন টিএসসির মোড়ে,
হঠাৎ আইসা কইবো কয়ডা টাকা দেন আমারে।
আপনি মারবেন একটা ঝারি,
কারণ, আপনি সুশীল সমাজ।
বস্তিতে পড়তে যাইবেন শুক্রবারের নামাজ।
তারপর মাইকের সামনে আরতি, সমাজের ডাক্তার,
দেশ মিলে দিবেন কত বড় বড় লেকচার।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
বড়লোকের বাচ্চা খেলে দিয়া টয়,
ছিড়া প্যান্ট পইড়া ঘুরি আমি গালিবয়।
আস্তে আস্তে বল করুম পারলে মাইরো ছয়,
আমি কেবলা খাইটা যামু তোমরা কইরো জয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।
আমি রানা গালিবয়, ঢাকাইয়া গালিবয়।